করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ফাঁকা হয়ে গেছে রাজধানীর রাস্তা। সৈয়দ জাকির হোসেন/ঢাকা ট্রিবিউন
পুলিশের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষকরে রাতে, যেসময় রাস্তা ফাঁকা পেয়ে ছিনতাইকারীরা দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে। যেহেতু খুবই নগন্যসংখ্যক মানুষ তখন রাস্তায় থাকে তাই প্রত্যক্ষদর্শীর অভাবে মূল অপরাধীকে শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর এ আজম মিয়াহ জানান, গত ১৯ মার্চ রাত প্রায় ১১টার দিকে, বনানীর সেতু ভবন এলাকায় ২২ বছর বয়সী মনির হোসেন ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন। সেঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কেননা ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করার সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যদিকে, কাফরুল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসিআই) জাহাঙ্গীর আলম গত ৮ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় আগারগাঁওয়ে ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে চলন্ত বাসের নিচে পড়ে নিহত হন। পুলিশ বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করলেও ছিনকারী এখনও অধরাই রয়ে গেছে।
জানুয়ারিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১৯টি ডাকাতি ও ২০৩টি চুরির মামলা দাখিল করেছে। আর ফেব্রুয়ারিতে, ১৯টি ডাকাতি ও ১৮৭ চুরির মামলা দাখিল করা হয়। অর্থাৎ বলা যায়, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গিয়েছে কিনা সেটি বিবেচনা করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলাকালে সবাইকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ফাঁকারাস্তায় ছিনতাই, চুরিসহ অন্যান্য অপরাধ মোকোবেলা করতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
কয়েকজন ভুক্তভোগী দাবি করেছেন, বেশিরভাগ সময়েই পুলিশ চুরি যাওয়া সামগ্রী খোঁজার বিষয়ে আগ্রহী দেখায় না। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, অনেক অপরাধী জামিন পেয়েই আবার অপরাধ জগতে ফিরে আসে বলে অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হয় না।
Ad
Ad
No comments:
Post a Comment
Note: Only a member of this blog may post a comment.