Full width home advertisement

Online Income

Airdrops

Post Page Advertisement [Top]

বিজ্ঞান প্রযুক্তির গতি

বিজ্ঞান প্রযুক্তি এগিয়েছে তীব্র গতিতে। আমরা প্রতিদিন যেমন নতুন ভোর দেখতে পাই। বিজ্ঞান প্রযুক্তি প্রতিদিন পায় নিত্য নতুন উদ্ভাবন যা আমাদের কল্পনাকে মাঝে মাঝে হার মানিয়ে দিতে পারে।

মস্তিষ্কের তরঙ্গ অনুবাদ

বর্তমানে মেশিন বা যন্ত্রের সাহায্যে আমাদের মানব দেহের অগ্রভাগের যে মস্তিষ্ক রয়েছে, তার তরঙ্গ অনুবাদ করে তা সামনে হাজির করা সম্ভব। হয়তো মনে হতে পারে এটি বৈজ্ঞানিক কোনো কল্প কাহিনী। কিন্তু বাস্তব হল, এটি বৈজ্ঞানিক কোনো কল্প কাহিনী নয়।

মার্কিন গবেষক ও এমএল

মার্কিন গবেষকরা এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে নিরলস ভাবে। মেশিন লার্নিং একটি যন্ত্র যার সাহায্যে এটি সম্ভব হয়েছে। মার্কিন গবেষকেরা মেশিন লার্নিং (এমএল) ব্যবহারের মাধ্যমে অনেকটাই এ পথে এগিয়েছেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদন

বিবিসি অনলাইনের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “কথা বলার সময় বিজ্ঞানীরা কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্কের তরঙ্গ দেখে তা ডিকোড করার ক্ষমতার একটি ধাপ অতিক্রম করেছেন।”

ব্রেন-মেশিন ইন্টারফেস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সান ফ্রান্সিসকোর (ইউসিএসএফ) গবেষকেরা অ্যালগরিদমের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ধরনকে রিয়েল টাইমে বাক্যে পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। এ সময় বাক্য গঠনে ভুলও হতে পারে। এই ভুলের হার মাত্র ৩ শতাংশ। একে বলা হয় ‘ব্রেন-মেশিন ইন্টারফেস’। পুর্বে স্নায়বিক কার্যকলাপ ডিকোডিং বা কোড থেকে বাক্য রূপান্তর করতে সাফল্যের হার খুবই সীমিত ছিল।

নেচার নিউরোসায়েন্স

‘নেচার নিউরোসায়েন্স’ সাময়িকীতে এর মাঝে এই গবেষণা বিষয়ক একটি আর্টিকেল প্রকাশ করা হয়। এর আগে গবেষকেরা কেবল কোনো শব্দের ক্ষুদ্র অংশ বা কোনো বাক্যের খুব সামান্য কিছু অংশ কোড থেকে বাক্য রূপান্তর করতে পারত।

গবেষণার সীমাবদ্ধতা

এই গবেষণায় এখনও বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান। গবেষকেরা তাঁদের গবেষণার সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেছেন। এখনো তাঁদের তৈরি এই পদ্ধতিতে মাত্র ৩০ থেকে ৫০টি বাক্য ডিকোড করা যায়। গবেষণা আর্টিকেলে গবেষকেরা লিখেছেন,  তাঁদের ডিকোডারকে আরও বেশি শেখানো হবে পরে এবং নিয়মিত ভাষা ব্যবহারের সুযোগও পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হবে।

লোকজনের মধ্যে স্থানান্তর যোগ্য

এ ক্ষেত্রে কতটুকু পরিমাণে ডেটা বা তথ্য লাগবে, তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁদের মেশিন ইন্টারফেস কেবল একক শব্দ শনাক্ত করছে। এই কারণে ট্রেনিংএর সময় ব্যবহার করা হয়নি এমন শব্দ বা বাক্যও ডিকোড করে ফেলতে পারে তাঁদের সিস্টেম। গবেষকেরা দাবি করেন যে এক স্বেচ্ছাসেবক থেকে আরেক স্বেচ্ছাসেবকের কাছে যাওয়ার আগে কম্পিউটার সিস্টেমকে যখন কোনো ব্যক্তির মস্তিষ্কের তরঙ্গ ও কথা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তখন তার ডিকোডিং ফলাফল উন্নত হয়েছে। এর অর্থ হল, এই ডিকোডিং কৌশলটি লোকজনের মধ্যে স্থানান্তর যোগ্য হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Bottom Ad [Post Page]

| Designed by Colorlib